মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে করোনার থাবা , কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে সতর্কতা জারি

12th July 2020 9:36 pm বাঁকুড়া
মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরে করোনার থাবা , কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করে সতর্কতা জারি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  করোনা সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেলনা বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীণ পৌর শহর বিষ্ণুপুর। এখানকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোপালগঞ্জ যৌন পল্লী এলাকার এক মহিলা করোনা আক্রান্ত। গত বুধবারই তাকে ওন্দা কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে। 

    সরকারী নির্দেশে গোপালগঞ্জের ঐ এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন ও তার চারপাশে ১০০ মিটার এলাকা বাফার জোন হিসেবে চিহ্নিত করে বহিরাগত ও স্থানীয়দের প্রবেশ ও প্রস্থান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বাঁশের বেড়া দিয়ে প্রবেশ পথ বন্ধ করার পাশাপাশি দমকল কর্মীদের দিয়ে পুরো এলাকা স্যানিটাইজ করার কাজ করছে প্রশাসন। 

   স্থানীয় বাসিন্দা মথুর বাগদী বলেন, আমরা এলাকার মানুষ ভীষণ আতঙ্কে আছি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাইকে নিয়েই আমাদের বসবাস। বাইরে থেকে এখানকার যৌনপল্লীতে যৌন কর্মীদের যাতায়াতের কারণেই এই সংক্রমণ ঘটেছে বলে তিনি দাবী করেন। 

  স্থানীয় বাসিন্দা টুম্পা বাগদী  বলেন, ভীষণ আতঙ্কে আছি। এই অবস্থায় সরকারী সাহায্য ছাড়া তাদের পক্ষে বেঁচে থাকা অসম্ভব বলে তিনি জানান।

   সংশ্লিষ্ট এলাকার  কাউন্সিলর উদয় ভকত সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই এলাকা কন্টেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখানকার ৯৫ টি পরিবারের ৪৪৩ জন সদস্যের প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও সাথে কিছু নগদ টাকা তারা পৌঁছে দেবেন বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।